সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাব জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গুলশান-১ এর একটি বাসা থেকে টিপু মুনশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টিপু মুনশি ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে রংপুর-৪ (পীরগাছা ও কাউনিয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নবম জাতীয় সংসদে তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সাল থেকে তিনি শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে ২০২৪ সালে কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাননি তিনি।
ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা হয়।
এসব মামলা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। এর মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকেও গ্রেপ্তার করা হয়।