দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছাগলনাইয়ার মোঃ তাজুল ইসলাম রিপনের (৩১) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। রিপন উপজেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের মমিন মহুরী বাড়ির হাজী আবুল বাশার এর ২য় সন্তান। রিপনের বড় ভাই শহীদুল ইসলাম লিটন সৌদিআরব প্রবাসি ও একমাত্র ছোট বোন বিবাহিতা। বুধবার ( ২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রিপনের বাড়িতে গেলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য চোখে পড়ে। রিপনের বাবা হাজী অাবুল বাশার ও মাতা
আয়েশা আক্তার ছেলে রিপনের জন্য বাব বার মুচ্ছা যাচ্ছে। তারা রিপনের লাশ দেশে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।জানা যায়, রিপন ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায়। আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে তার দেশে আসার কথা ছিল। ইতিমধ্যে তার জন্য পাত্রী দেখা শুরু হয়েছিল। রিপন বিয়ের যাবতীয় বাজার সদাই করে রেখেছিল। কিন্তু তার স্বপ্ন স্বপ্নই রইল। রিপন দক্ষিণ আফ্রিকার ফুমালাঙা প্রদেশে জেনারেল ষ্টোর এর ব্যবসা করত। গত
সোমবার দিবাগত রাতে তার দোকানের আফ্রিকান দু' কর্মচারীর হাতে নির্মম ভাবে খুন হন তিনি। চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। তারা রিপনকে হত্যা করে টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার গ্রামের বাড়িতে মৃত্যুর খবর আসে। তার এ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।