নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। সম্পর্কে দুইজন মামাতো-ফুফাতো ভাই। তারা নরসিংদীতে একটি লুঙ্গির ফ্যাক্টরিতে প্রিন্টিং ও প্রসেসিং সেকশনে কাজ করতেন।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথের নরসিংদী পৌর এলাকার তরোয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-ফেনীর দাগনভুইয়ার মোহাম্মদপুর এলাকার আসাদুজ্জামান নান্নুর ছেলে কাজী নজরুল ইসলাম বাবর (২১), একই এলাকার মো. হানিফ খানের ছেলে মোর্শেদ খান (১৭)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, দুই যুবক মোবাইলে কথা বলতে বলতে শহরের তরোয়া এলাকায় রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। তরোয়া এলাকা অতিক্রম করার সময় ট্রেনটি বেশ কয়েকবার হুইসেল দেয়। কিন্তু দুই যুবকের কানে ইয়ারফোন থাকায় ট্রেনটির হুইসেলের শব্দ তাদের কানে পৌঁছায়নি। ট্রেনটি বিকট শব্দে আসতে দেখে আশপাশের লোকজনও চিৎকার করে তাদের ডাকছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে ট্রেনটির নিচে কাটা পড়েন ওই দুই যুবক। এতে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। সেখানে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর তাদের লাশ নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে মো. ওমর ফারুক নামে তাদের এক স্বজন ও সহকর্মী ওই ফাঁড়িতে গিয়ে দুই লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন।
মো. ইমায়েদুল জাহেদী জানান, দুর্ঘটনার সময় তারা দুজন ‘অ্যাবসেন্ট মাইন্ডেড’ ছিলেন। তাদের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা এলে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে আজ সকাল ৯টার দিকে পলাশের জিনারদী রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে হেঁটে রেললাইন পার হওয়ার সময় মহানগর এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়ে সোহাগ মিয়া (২৭) নামের এক যুবক নিহত হন। ওই দুর্ঘটনায় তার মাথা থেঁতলে যায় এবং পা কেটে যায়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। ওই যুবক সদর উপজেলার মাধবদী থানার মহিষাশুরা ইউনিয়নের খিলগাঁও গ্রামের আইয়ুব আলী মিয়ার ছেলে।