শ্বশুরবাড়ি থেকে আম-কাঁঠাল কম দেয়ায় গৃহবধুকে নির্মমভাবে নির্যাতনের ঘটনায় স্বামী ইয়াকুব আলী ও শ্বশুর আবুল কাশেম ভেন্ডরকে আটক করেছে পরশুরাম থানা পুলিশ।
শ্বশুরবাড়ি থেকে মৌসুমী ফল আম কাঁঠাল কম দেয়ায় গত ২৭জুন স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে স্বামী ইয়াকুব আলী। এসময় ইট দিয়ে তার স্ত্রী ফারজানার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলে দেয়া হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এয়াকুব আলী বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের সাতকুচিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
ফারজানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন তার স্বামী একজন নেশাগ্রস্ত, চার লাখ টাকা যৌতুকসহ তুচ্ছ কারণে এর আগেও বহুবার তাঁকে মারধর করেছে।
ওইদিন রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘরে ঢুকে তার বাপের বাড়ি থেকে আম-কাঁঠাল কম পাঠানোর অভিযোগে লোহার রড দিয়ে হাত পা এবং মাথা আঘাত করে এরপর একটি ইট দিয়ে মাথা ও পিঠ থেঁতলে দেয়।
পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রোকসানা সুরাইয়া জানান ফারজানার শরীরে একাধিক স্থানে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। মাথা হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
জানা যায় সাতকুচিয়া গ্রামের আবুল কাশেম ভেন্ডরের ছেলে এয়াকুব(৩৫) এর সাথে উত্তর চন্দনার ফারজানা আক্তার সুমির বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে এর আগেও ফারজানাকে মারধরের অভিযোগে পরশুরাম থানা মামলা হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা করে পূনরায় সংসার শুরু করেন। ফারজানা অভিযোগ করেন ইয়াকুব আলী নেশা করে বিভিন্ন অজুহাতে প্রতিনিয়ত তাকে মারধর করেন।