নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন সোনাগাজী কর্মরত সাংবাদিকরা। এ সময় হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান তারা।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় দৈনিক কালের কণ্ঠ সোনাগাজী উপজেলা প্রতিনিধি শেখ আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে সোনাগাজীর জিরো পয়েন্টের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন দৈনিক যুগান্তর সোনাগাজী প্রতিনিধি জাবেদ হোসাইন মামুন, দৈনিক প্রথমআলো সোনাগাজী প্রতিনিধি আমজাদ হোসাইন, দৈনিক সমকাল সোনাগাজী প্রতিনিধি আবুল হোসেন রিপন, দৈনিক ইনকলাব সোনাগাজী প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন কাঞ্চন, দৈনিক ভোরের কাগজ সোনাগাজী প্রতিনিধি সৈয়দ মনির, দৈনিক দেশ রূপান্তর সোনাগাজী প্রতিনিধি সফি উল্ল্যাহ রিপন, দৈনিক আমাদের সময় সোনাগাজী প্রতিনিধি ওমর ফারুক, সাংবাদিক মোতাহের হোসেন ইমরান, হাবিবুল ইসলাম রিয়াদ, গাজী হানিফ ও শহিদুল ইসলাম।
আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক এন আফছার সোহাগ, মো. সালাহ উদ্দিন, আবদুল্লা রিয়েল, ইকবাল হোসাইন, শরীয়ত উল্ল্যাহ রিফাত, বাহার উল্যার বাহার, নজরুল ইসলাম, ইয়াছিন আরাফাত তুহিন, মো. গিয়াস উদ্দিন মামুন ও আবদুর রহিম রুবেল প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভমিছিল নিয়ে সোনাগাজীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক মুজাক্কিরের খুনিদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনকে আলটিমেটাম দেন বক্তারা। এতে প্রশাসন ব্যর্থ হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
প্রসঙ্গত; গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। শনিবার রাত ১০টা ৪৫মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত মুজাক্কির দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও অনলাইন পোর্টাল বার্তা বাজারের প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের নোয়াব আলী মাস্টারের ছেলে। নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে সম্প্রতি রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করে সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়েছিলেন।