বুকের ভেতরকার ক্ষতচিহ্নকে
রোজই শুকোতে দেই চিলেকোঠার রোদ্দুরে
ঘাসফড়িং হয়ে উড়ে যেতে থাকি
চিরচেনা জারুল বৃক্ষের ছায়ায়
খরস্রোতা জলে ভেসে যেতে থাকি
বড্ড অচেনা, অথচ নির্জন কোনো বন্দরে
একদিন যে পথের কার্ণিশে
ক্লান্তি ছিলোনা কোনো
বিস্তৃত ছিল সীমাহীন আশা
বেদনার সরোবরে ভাসমান ছিলো
অজস্র ভালোলাগা ফুল
আজ সে পথে বিঁধে আছে বিষাক্ত হুল!
পেছনে ফেলে আসা আরও কিছু ভুল!
এখন, এখানে নির্জলা আকাশ নেই
পরম নির্ভরতায় ওড়েনা শরতের ঘুড়ি
নির্ভয়ে পাখা মেলেনা বুকের হলুদ পাখি
এখন,
উজানে ধেয়ে চলার কোনো তাড়াহুড়ো নেই
স্বপ্নের সিঁড়ি ডিঙানোর কোনো ব্যাকুলতা নেই
তাই;
অসহায় বিধবা পাখির মতো
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকি স্বপ্নের এপারে
আর; ওপারে নিষ্পলক চেয়ে থাকে
আমারই স্বপ্নাতুর এই দুটি চোখ।।