দাগনভূঞায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর লাশ বাড়িতে নিয়ে গেলে উধাও হয়ে যায় তার স্বজনরা।খবর পেয়ে প্রায় ১ ঘন্টা পর লাশ দাফনে এগিয়ে এলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যন মাসুদ রায়হান।সোমবার (২২ জুন) এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউপির পশ্চিম পূর্ব চন্দ্রপুর গ্রামে।নিহত সফিকুল ইসলাম মামুন(৪৮) ওই গ্রামের মৃত:শাহা আলমের ছেলে। স্থানীয়রা জানান,পাশবর্তী জায়লস্কর ইউপির সিলোনীয়া বাজারের ব্যবসায়ী ও পল্লী চিকিৎক ছিলেন সে।ঘটনার দিন ভোর রাতে নিজ দোকানেই মৃত্যুবরণ করেন।খবর পেয়ে সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাড়ী পৌঁছে দেন দাগনভূঞা থানা পুলিশ । মৃত্যুর আগে
করোনা উপসর্গ থাকায় এর পর তার লাশ দাফনে এগিয়ে না এসে উধাও হয়ে যায় স্বজনরা।বিষয়টি জানতে পেরে প্রায় ১ ঘন্টা পর সেখানে হাজির হয়ে এলাকার কয়েকজন যুবককে নিয়ে নিজেই লাশ দাফন সম্পন্ন করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। পূর্ব চন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,আমাদের সামাজিক অবস্থা কেথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? একজন মানুষের মৃত দেহ রেখে কি করে স্বজনারা উধাও হয়ে যায়।বিষয়টি ভাবতেও আমার অবাক লাগে।মসজিদ থেকে খাটিয়া আনার জন্যও মামুনের বাড়ীতে একজন মানুষ খুঁজে পাইনি।বিষয়টি দুঃখজন উল্লেখ করে তিনি সকলকে নিজের মৃত্যুর কথা চিন্তা করে একটু মানববিক হওয়ার অনুরোধ জানান।