চাঁদার দাবীতে অপহরণের ৪দিন পর ডোবা থেকে স্কুল ছাত্রের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহ:বার (১২ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনী শহরের দেওয়ানগঞ্জ এলাকার একটি কচুরিপানাভর্তি ডোবা থেকে স্কুল ব্যাগে ভরা অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নাশিত (১০) ফেনী শহরের আতিকুল আলম সড়কে অবস্থিত গ্রামার স্কুলের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র ও ক্লিনিক ব্যবসায়ী মো. সোহাগের পুত্র। অপহরণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত আশরাফ হোসেন তুষার, মোবারক হোসেন ওয়াসিম ও ওমর ফারুক রিফাত কে গ্রেফতার করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ।
ফেনী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, নাশিত গত ৮ডিসেম্বর কোচিং এ গিয়ে আর বাসায় না ফেরায় তার পিতা মো. সোহাগ ফেনী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, ডায়েরির সূত্র ও নাশিতের পিতার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় পুলিশ প্রথমে আশরাফ হোসেন তুষারকে আটক করে। ৪ঘন্টা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তুষার অপহরণ ও হত্যার পর লাশ গুমের কথা স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বাকী দুজনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে নাশিতের লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে খুনীরা জানায়, হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য তারা নাশিতের বহন করা স্কুল ব্যাগে লাশ ঢুকিয়ে পানিতে ডোবানোর জন্য পাথর ভরে ডোবায় ফেলে দেয়। কেউ যাতে তাদের সন্দেহ না করে সেজন্য নাশিতের পরিবারের সদস্যদের সাথে তাকে খুঁজতে বের হন এবং ফেসবুকে নিখোঁজের বিষয়টি প্রচার করেন খুনীরা।
নাশিতের পিতা সোহাগ জানান, নিখোঁজের দিন কোচিং এ যাবার পর বাসা না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে তার পরিবার। রাতে তিনি মডেল থানায় ডায়েরি করার পর হোয়াটসআ্যপে তার কাছে নাশিতকে অপহরণের কথা জানিয়ে ১২লাখ টাকা মুক্তিপন চায় খুনিরা। তিনি টাকা দিতে রাজী হওয়ার পর খুনীরা তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
নাশিতের প্রথম জানাযার নামাজ বৃহ:বার বাদ মাগরিব ফেনী জিএ একাডেমী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২য় জানাযার নামাজ জেলার ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর আনসার আলী ফকির জামে মসজিদ মাঠে রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।