শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং         ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
  • মেনু নির্বাচন করুন

    মিরসরাইয়ে মৎস্য প্রকল্প দখলের পাঁয়তারা


    ফাইল ছবি
    শেয়ার করুনঃ

    মিরসরাইয়ের চরাঞ্চলে একটি মৎস্য প্রকল্প দখলের পাঁয়তারায় লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে আতংকে রয়েছে মৎস্য চাষীরা। উপজেলার ইছাখালী মৎস্য প্রকল্পে কয়েকটি উপকূলীয় বাহিনীর কাছে এমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন চাষীরা। পূর্ব ইছাখালী মৎস্য প্রকল্পে মাছ লুট ও পরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দখলের পাঁয়তারার অভিযোগে ওই রাতেই জোরারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ইছাখালী বাংলাবাজার চরশরৎ এলাকার বাইশ একর মৎস্য প্রকল্পের মৎস্য চাষী আবুল হোসেনের পুত্র নুরুল কবির। সে মহানগরীর পাঁচলাইশের ৭ নং ওয়ার্ডের হাদু মাঝি পাড়ার বাসিন্দা। অভিযোগে বামনসুন্দর দারগাহাটের গোলবক্স ভূঁইয়া বাড়ির চাঁন্দ মানিকের পুত্র শওকত আকবর সোহাগ, দক্ষিণ বাড়িয়াখালীর মৃত হাসমত উল্ল্যাহর পুত্র এরাদুল্লাহ, বামনসুন্দর দারগাহাটের গোলবক্স সারেং বাড়ির মৃত রওশন জামানের পুত্র নুরুল আমিন ডিপটি, কাটাছড়া রহমতাবাদের মৃত সোলায়মানের পুত্র আলাউদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে অভিযুক্ত করেছেন।
    জানা যায়, বামনসুন্দর পল্লী উন্নয়ন কৃষক সমবায় সমিতির পরিচালনাধীন পূর্ব ইছাখালী মৌজার বাইশ একর মৎস্য প্রকল্প ২০১৮ সালের ১ জুলাই নুরুল কবির ইজারা গ্রহনের মাধ্যমে মৎস্য চাষ করে আসছে। অভিযুক্তরা গত ১৪ ফেব্রুয়ারী উক্ত মৎস্য প্রকল্প থেকে বেশকিছু মাছ তুলে নিয়ে যায়। এরপর সমিতির পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এ রকম আর কোন ঘটনা ঘটবেনা এবং ইজারার মেয়াদ শেষ হলে পুণরায় বাদীকে ইজারা দিবে জানালে বাদি কোন আইনি প্রতিকার চায়নি। গত বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) অভিযুক্তরা সমিতির দোহাই দিয়ে বাদীকে প্রকল্প অন্যত্র ইজারা প্রদানের কথা জানায়। তবে বাদী সমিতির কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা এ বিষয়ে কিছু জানেনা বলে জানায়।
    মৎস্য চাষীরা জানান, এখানকার জমিগুলো সরকারীভাবে একোয়ার হলেও একেকজন জমিগুলো নিজেদের দাবি করে টাকা আদায়ে লিপ্ত রয়েছে। এদিকে ইজারা সমিতির মাধ্যমে দেয়া বলে জানালেন বামনসুন্দর পল্লী উন্নয়ন কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান।
    সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদি বলেন, মৎস্য প্রকল্পটি সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। ইজারা দিলে সমিতিকে অবহিত করার বিধান রয়েছে।
    বাদী নুরুল কবির জানান, অভিযুক্তদের টাকা না দিলে প্রকল্পে মাছ চাষ করতে দেবেনা, পানি সেচ করে মাছ মেরে ফেলবে এমনকী শান্তিতে থাকতে দেবেনা বলে জানায়। অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে এসে আমার থাকার ঘরেও তালা লাগিয়ে দেয়। তিনি বলেন, এখানে প্রকল্পের পাড় থেকে শুরু করে কোন কাজ করতে গেলে অভিযুক্তরা টাকা দাবি করে থাকে। মূলত এরা চাঁদাবাজ।
    এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আজিজ বলেন, নুরুল কবির ৯ জুলাই অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেখানে অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি, তদন্ত চলছে।

     


    আপনার মন্তব্য লিখুন
    © 2024 chhagalnaiya.com All Right Reserved.