ভারতীয় আগ্রাসন, সম্প্রসারণবাদ ও ফেনী দখলের হুমকির প্রতিবাদে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদযাত্রা করে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ‘ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ সর্বদলীয় কমিটি’। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ফেনী শহরের কেন্দ্রিয় শহিদ মিনার থেকে জড়ো হয়ে স্মারকলিপি নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা করেন ফেনীর সর্বস্তরের শতশত মানুষ। পদযাত্রা শেষে ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস ও এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বলেন, জুলাই এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিতাড়িত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার তল্পিবাহক মন্ত্রী এমপিরা আধিপত্যবাদী ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশ্রয় প্রশয়ে থেকে বিগত ছয় জুলাই রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। তাদেরই উষ্কানীতে ভারতের সম্প্রসারণবাদী ও হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার উচ্ছিষ্ট ভোগী কলিকাতা ও আগরতলা কতিপয় নিকৃষ্ট মানুষ বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কাল্পনিক জুলুম নির্যাতনের ধুয়া তুলে বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জঘন্য তৎপরতা লিপ্ত রয়েছে। সম্প্রতি ভারতীয় দস্যুরা ফেনী
জেলা দখল করে চট্টগ্রাম অঞ্চলকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ভারতের দখলে নেয়ার প্রকাশ্য হুমকি দেয়। এরই প্রেক্ষিতে উগ্রবাদী হিন্দুরা কলিকাতা ও আগরতলা বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিস আক্রমণ করে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সাার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা অবমাননা করে। এতে সারা বাংলাদেশের জনগণ বিশেষ করে ফেনী জেলার ২০ লক্ষ বাসিন্দা গভীর উদ্বেগ উৎকণ্ঠের মধ্যে আছে। বক্তারা প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘ফেনী জেলার সকল মানুষ দেশের অপরাপর এলাকার জনগণের সাথে একাত্ম হয়ে আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ভারতীয় দস্যুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আছে। আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে জাতীয় গণ ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য দেশবাসীকে আহবান করবে।’ বক্তারা ফেনীতে সেনানিবাস স্থাপনের দাবী জানিয়ে বলেন, ফেনী দখল করে চট্টগ্রাম অঞ্চলকে বিছিন্ন করে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফেনীবাসীর অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফেনীতে একটি সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবী। এ সময় বক্তারা পুতুল সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা কর্তৃক ভারতের সাথে সম্পাদন করা সকল গোপন ও প্রকাশ্য চুক্তি বাতিল করার জোর দাবী জানান। এছাড়া ফেনী নদী থেকে ভারত কর্তৃক পানি লুট ও ভারতের অবৈধ আশ্রয়ে থাকা গণহত্যা মামলা আসীম আসামি শেখ হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কাজ সম্পন্ন করার দাবী জানানো হয়।