শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং         ০১:১৬ অপরাহ্ন
  • মেনু নির্বাচন করুন

    দেড় মাসে ৬২ রোহিঙ্গা আটক মিরসরাইয়ে


    ফাইল ছবি
    শেয়ার করুনঃ

    মিরসরাই উপজেলার বঙ্গোপসাগর উপকূলে ৩০ হাজার একর জমিতে গড়ে উঠছে এশিয়ার সর্ববৃহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী। শিল্পনগরী এলাকায় ইতিমধ্যে ৪ দফায় দেড় মাসে আটক হয়েছে দালাল, নারী ও শিশুসহ ৬২ রোহিঙ্গা। বঙ্গোপসাগর হয়ে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে এসব রোহিঙ্গারা ট্রলারে করে পালিয়ে এসে উঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী এলাকায়। সেখান থেকে গত ৪৮ দিনে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে আটক হয় তারা। সর্বশেষ শনিবার (১৭ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায়

    ইছাখালী ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী এলাকার বেপজা কোম্পানির আওতাধীন আনসার ক্যাম্পের সামনে থেকে ২০ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসছে বলে পুলিশকে জানায়।

    আটককৃত রোহিঙ্গারা হল আবদুর রহমান (২৭), সেতারা বেগম (২০), সাব্বির (২৬), সঞ্চিতা বেগম (২২), রাজিয়া বেগম (২৩), নুরুল করিম (২০), ছালমা খাতুন (৫০), জামাল হোসেন (২৪), নুর কায়দা (২৫), রুমানা (৬), নুর ফাতেমা (৩), আয়াজ (৮ মাস), জান্নাত আরা (৪), কিছমত আরা বেগম (২), মরিয়ম (৮ মাস), আবুল কাশেম (৭), ওসমান গণি (৮ মাস), আয়াত (৪), জান্নাত আরা (১), সেতারা (৫)। আটক ২০ রোহিঙ্গার মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৫ জন মহিলা ও ১১ জন শিশু।

    জানা যায়, গত ৪৮ দিনের ব্যবধানে নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে দালাল চক্রের মাধ্যমে ট্রলারযোগে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দেয় রোহিঙ্গারা। পরবর্তীতে মিরসরাইয়ে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে গড়ে উঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী এলাকায় এসে উঠে তারা।

    তাদের উদ্দেশ্য কক্সবাজার জেলার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির। ইতিমধ্যে সর্বপ্রথম গত ৩১ মে ৩ দালালসহ ১০ জন, ২২ জুন ১৪ জন এবং ১১ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী এলাকা থেকে ১৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক কওে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। মূলত সাগরপথে ভাসানচর হয়ে মিরসরাই সহজ রুট হওয়ায় দালালরা এই রুট ব্যবহার করে আসছে।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী আনসার ক্যাম্পের সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, শনিবার সকালে ক্যাম্পের সদস্যরা বেপজা গেইটে দায়িত্ব পালন করার সময় সিপাহী সোহানুর ও মিনহাজ একদল মানুষকে দলবদ্ধভাবে ঘুরাফেরা করতে দেখে আমাকে জানালে পরে আমি অন্যদের সাথে নিয়ে তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা রোহিঙ্গা বলে জানায়। পরে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের শিল্পনগরী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদেরক খবর দিলে রোহিঙ্গাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এবিষয়ে আমি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করি।

    জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শরীফুল ইসলাম জানান, নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী এলাকায় পৌঁছলে আনসার ক্যাম্পের সদস্যরা ২০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে খবর দিলে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের শিল্পনগরী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

    এবিষয়ে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা (নং-১৩) দায়ের করা হয়েছে এবং আটককৃত রোহিঙ্গাদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

    জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর হোসেন মামুন জানান, আটক রোহিঙ্গারা নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে ট্রলারযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী এলাকায় নামেন। সেখান থেকে তারা টেকনাফের কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে যাওয়ার কথা ছিল। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী এলাকার দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।


    আপনার মন্তব্য লিখুন
    © 2024 chhagalnaiya.com All Right Reserved.