শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং         ০৫:৫৬ অপরাহ্ন
  • মেনু নির্বাচন করুন

    মিরসরাইয়ে অনুমোদনহীন পোল্ট্রি ফার্মের বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী


    ফাইল ছবি
    শেয়ার করুনঃ

    মিরসরাইয়ে চরশরৎ গ্রামের অনুমোদনহীন একটি পোল্ট্রি ফার্মের বর্জ্যরে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। প্রাণী সম্পদ কার্যালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না নিয়ে গড়ে উঠা পোল্ট্রি ফার্মটি উপজেলার ৬ নং ইছাখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডেও চরশরত দাশপাড়ায় অবস্থিত। যত্রতত্র ফার্মের বর্জ্য ও মৃত মুরগী ফেলার কারণে গন্ধে বিগত কয়েকদিন যাবৎ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে অর্ধশত পরিবার। জানা গেছে, সরকারি কোন সংস্থার অনুমোদন ছাড়া বিগত ৩-৪ বছর আগে পোল্ট্রি ফার্মটি স্থাপন করেন কনিকা বালা দাশ। গ্রামীণ পরিবেশের বাহিরে পোল্ট্রি ফার্ম করার বিধান থাকলেও কনিকা বালা দাশ ফার্মটি গ্রামের মধ্যে স্থাপন করেন। মুরগীর বর্জ্য ও মৃত মুরগী ধ্বংস

    করার কোন ব্যবস্থা না করে তা ফেলা হচ্ছে যত্রতত্র। বর্জ্য ও মৃত মুরগীর পঁচা গন্ধে দাশপাড়া গ্রামে সাধারণ মানুষের বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সারাক্ষণ মুখে কাপড় বেঁধে চলাচল করছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি স্থানীয়রা।

    স্থানীয় আমিনুল হক, সমীর দাশ, উজ্জলা রাণী দাশ, রতন চন্দ্র দাশ বলেন,কণিকা বালা দাশ ও তার স্বামী হীরা লাল দাশ কয়েক বছর আগে স্বন্দ্বীপ থেকে এসে আমাদের গ্রামে জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে তারা সেখানে আইনের তোয়াক্কা না করে গ্রামের মধ্যে পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপন করেন। ফার্মের বর্জ্য ও পঁচা মুরগীর দুর্গন্ধে আমরা বাড়ীতে বসবাস করতে পারছিনা। দুর্গন্ধের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও মামলার হুমকী দেয়। এছাড়া সরকারী রাস্তা দখল করে সে পোল্ট্রি ফার্ম

    স্থাপন করে। এতে করে ফার্মের টিনের চালে পানি রাস্তায় পড়ে বর্ষাকালে চলাচল বিঘœ হচ্ছে। অভিযুক্ত কণিকা বালা দাশ বলেন, স্বন্দ্বীপে চর ভেঙ্গে আমাদের সব সম্পদ

    সমুদ্রে বিলীন হয়ে গেছে। পরবর্তীতে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে চরশরৎ গ্রামে একটি জমি ক্রয় করি থাকার জন্য। স্বামীর কোন কাজ না থাকায় ওই জমিতে পোল্ট্রি ফার্ম দিয়ে পরিবার চালানোর চেষ্ঠা করি। মুরগী বিক্রির পর সব বর্জ্য একত্র করে দূরে ফেলে দিয়ে আসি। সাময়িক হয়তো দুর্গন্ধ লাগে। তবে সব বর্জ্য শীঘ্রই মাটির নীচে পুঁতে ফেলবেন বলে তিনি জানান।

    মিরসরাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার বলেন, কণিকা বালা দাশের পোল্ট্রি ফার্মের বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে আমরা সরেজমিন তদন্ত করেছি। পোল্ট্রি বর্জ্য ও মৃত মুরগী যত্রতত্র না ফেলার জন্য তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি পুণরায় সে এরূপ কাজ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



    আপনার মন্তব্য লিখুন
    © 2024 chhagalnaiya.com All Right Reserved.