ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকে ছাগলনাইয়ায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন গ্রুপের কোন্দল দিন দিন চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে বালুমহাল ঘিরে কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্বশস্ত্র হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত দোষীদের বাঁচাতে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে প্রত্যেকটি ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতা-কর্মীরা।
সর্বশেষ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিনকে (৫২) অস্ত্র ঠেকিয়ে সমিতি বাজারস্থ বিসমিল্লাহ্ সুপার মিনি শপের ভেতর থেকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাকে উদ্ধারের দাবীতে তাৎক্ষণিক আলাউদ্দিনের স্বজন ও অনুসারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুহুরীগঞ্জ অংশে আগুন জ্বালিয়ে ব্যারিকেড দেয় । এ সময় দীর্ঘ যানজটে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও সাধারণ মানুষ। ছাগলনাইয়া থানা ও মুহুরীগঞ্জ হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের প্রচেষ্টা ও আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। তুলে নেয়ার প্রায় সোয়া ২ ঘন্টা পর আলাউদ্দিনকে উপজেলার লাঙ্গলমোড়ার চর এলাকা থেকে ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে আলাউদ্দিন বাদী হয়ে বৃহষ্পতিবার দুপুরে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বিএনপি নেতা আলমগীর সিদ্দিকীসহ ৭জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫/১৬জনকে অজ্ঞাত হিসেবে আসামী করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওইদিন রাত ৯টার দিকে ঘোপাল ইউনিয়নের সমিতি বাজারস্থ বিসমিল্লাহ্ সুপার মিনি শপ এর ভেতর বসে দোকান মালিক আব্দুল মান্নানের সাথে তিনি কথা বলছিলেন। এ সময় তার সাথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিএনপি নেতা আলমগীর সিদ্দিকীর নির্দেশে মোমিন, তৌহিদ , রানা, জাহিদ, নিশাত, সাইফুলসহ ১৫/২০ জন দুর্বৃত্ত তাকে তুলে লাঙ্গলমোড়ার নির্জন চরে হাত পা বেঁধে পেটাতে থাকে। এসময় স্থানীয়রা উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে দূবৃত্তরা ৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে তাকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
আলমগীর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আলাউদ্দিনের সাথে তার কোন দ্বন্দ্ব নেই। অন্তকোন্দলের জেরে আলাউদ্দিনের লোকেরাই এমন ঘটনা ঘটিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।