মিরসরাই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ রেল ষ্টেশন সড়কের একমাত্র ব্রীজটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রীজ ভেঙ্গে বড় একটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ব্রীজের গার্ডারের পলেস্তারা খসে পড়ে যাচ্ছে, ভেঙ্গে
গেছে ব্রীজের রেলিংও। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি দিয়ে প্রতিদিন উপজেলা খাদ্য গুদামের গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াত করছে। জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত মিরসরাই সদর
ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের উত্তর তালবাড়ীয়া গ্রামে অবস্থিত মিরসরাই রেল ষ্টেশন সড়কটি। সড়কটি দিয়ে মিরসরাই রেলওয়ে ষ্টেশন, উপজেলা খাদ্য গুদাম, মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরীতে যাতায়াত করে যানবাহন ও জনসাধারণ। এছাড়া উত্তর তালবাড়ীয়া গ্রামের প্রায় ৬ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কটি। সড়কটির মাঝামাঝি অংশে স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্বে নির্মিত ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৮ ফুট প্রস্থের ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ উঠেছে দীর্ঘ কয়েক বছর পূর্ব থেকে।
ব্রীজটি ভেঙ্গে ইতিমধ্যে বড় একটি গর্র্তের সৃষ্টি হয়েছে, ভেঙ্গে গেছে ব্রীজের রেলিংও। ব্রীজের নীচের অংশের গার্ডারের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বেরিয়ে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়া ব্রীজটি দিয়ে প্রতিদিন খাদ্য গুদামের গাড়ীর পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। মিরসরাই রেল ষ্টেশন সড়কটি কিছুদিন পূর্বে সংস্কার করা হলেও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি নির্মাণের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা ।
মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল হক চৌধুরী নওশা মিয়া বলেন, মিরসরাই ষ্টেশন সড়কের ব্রীজটি পাকিস্তান আমলে নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তীতে ব্রীজের উপরের
অংশ ভেঙ্গে পুণরায় ছাদ দেওয়া হয়। এরপর ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেলেও আজৌ নির্মাণ করা হয়নি। মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন বলেন, মিরসরাই রেল ষ্টেশন সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি পুনঃ নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট নাম দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই ব্রীজের টেন্ডার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সামছুন্নাহার স্বর্ণা বলেন, মিরসরাই ষ্টেশন সড়কটি দিয়ে উপজেলা খাদ্য গুদামের গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করছে। ব্রীজটি যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়তে
পারে। এতে করে খাদ্য গুদামের গাড়ি যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহেও বিঘœ ঘটবে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটির বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, মিরসরাই রেল ষ্টেশন সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি পুনঃনির্মাণের জন্য টেন্ডার তালিকায় নাম রাখা হয়েছে। গত ২৪ মার্চ থেকে দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনাও ত্রাণ মন্ত্রণালয় করোনার কারণে নতুন করে টেন্ডার দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছেন। টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হলে ব্রীজটিরও নাম দেওয়া হবে। এছাড়া সড়কটি যেহেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই ব্রীজের কাজ
করার আগে যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক নির্মাণ করতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তিনি অনুরোধ করেন।