মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৫৬ কেজি ক্ষতিকারক জেলিযুক্ত বাগদা চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে জব্দকৃত চিংড়ি মাছগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। জানা যায়, শুক্রবার ভোররাতে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার চাম্পাফুল ইউনিয়ন থেকে মাসুম বিল্ল্যাহ নামের মৎস্য সরবরাহে নিয়োজিত ব্যক্তি একটি ক্যাভার্ড ভ্যানে করে বারইয়ারহাট মৎস্য আড়তে জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ আনার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ক্যাভার্ড ভ্যানটি মেয়র রেজাউল করিম খোকনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আটক করা হয়। পরেশুক্রবার বিকেলে মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুবল চাকমা ও জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ক্যাভার্ড ভ্যানটি খোলা হলে জেলিযুক্ত ১২ কাটুন চিংড়ি মাছ উদ্ধার করা হয়। ১২ টি কাটুনে ১৫৬ কেজি চিংড়ি মাছ পাওয়া যায়, যার বাজার মূল্য ৭৮ হাজার টাকা। এসময় চিংড়ি বেচাকেনায় জড়িত ৩ টি প্রতিষ্ঠান বাবুল ফিস, জানে আলম ফিস, মোল্লা ফিস ও মাসুম বিল্ল্যাহকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪২ ধারায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়, যার মামলা নম্বর ১১৯। পরবর্তীতে জব্দকৃত জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ বারইয়ারহাট পৌরসভা প্রাঙ্গনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
প্রসঙ্গত, জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ ও রং মেশানো বিভিন্ন মাছ জব্দ করতে গত ২৬ এপ্রিল গভীর রাতে বারইয়ারহাট পৌরসভার প্রতিটি মৎস্য
আড়তে ঝটিকা অভিযান চালান মেয়র রেজাউল করিম খোকন। ওইদিন দেড় ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি রং মিশ্রিত রিকশা মাছ ও জেলিযুক্ত ১২ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করেন তিনি। এরপর আগামীতে এই ধরণের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে স্থানীয় মাছের আড়ৎদারদের সতর্ক করা হয়। বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকন বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বারইয়ারহাট মৎস্য আড়তে ক্ষতিকর রং মিশ্রিত বিভিন্ন প্রকারের মাছ ও জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ বিক্রির অভিযোগ শুনে আসছি। ইতিপূর্বে গভীর রাতে বারইয়ারহাট মৎস্য আড়তে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি ক্ষতিকর রং মিশ্রিত রিকশা মাছ ও জেলিযুক্ত ১২ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করি।
মৎস্য আড়তে যারা এসব কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে তাদের সতর্ক করি যাতে ভবিষ্যতে যেন এমন কর্মকান্ড না করে। এরপর থেকে মৎস্য আড়তে নজরদারি বাড়িয়ে দিই, তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার ভোররাতে জেলিযুক্ত ১২ কাটুন চিংড়ি মাছ উদ্ধার করি, ১২ টি কাটুনে ১৫৬ কেজি চিংড়ি মাছ পাওয়া যায়, যার বাজার মূল্য ৭৮ হাজার টাকা। পরে মাছগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিই।