হাট থেকে গরু কিনে প্রতারণার শিকার এক গরু ব্যবসায়ী প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী দিদারুল আলম মিরসরাই প্রেস ক্লাব সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, প্রতারণার শিকার হয়ে থানা পুলিশের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েও তিনি বিচার পাননি। উল্টো এক কলেজ শিক্ষক তাকে হুমকি ধমকি দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দিদারুল জানান, গত ২১ মার্চ বিক্রির উদ্দেশ্যে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জ থেকে ৬টি গরু ক্রয় করেন তিনি। এরপর গরুগুলো পাশ^বর্তী ব্যবসায়ী শাহীন ও ভাসানীর গরুর সঙ্গে একই ট্রাকে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া এলাকায় এনে শাহীনের বোনের বাড়িতে রাখেন। এসময় শাহীন দিদারুলের ৬টি গরুও নিজের বলে দাবি করে তাকে মারধর করে। গরু ক্রয়ের মূল রশিদ কেড়ে রেখে দেয়। পরে দিদারুল পুণরায় রসুলগঞ্জ বাজারে গিয়ে হাট ইজারাদার থেকে
কার্বন রশিদ কপি এনে গত ১২ এপ্রিল শাহীনের বিরুদ্ধে স্থানীয় মিরসরাই থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের তদন্ত ভার পড়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাকসুদের ওপর। এরপর এসআই মাকসুদ দিদারুলের গরুগুলো শনাক্ত করে স্থানীয় মিরসরাই বিশ^বিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাছির উদ্দিনের জিম্মায় রাখে। এরপর গত ১৯ এপ্রিল এ বিষয়ে থানায় শালিসি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
গরু ব্যবসায়ী দিদারুল অভিযোগ করেন, ‘শালিসি বৈঠকে ওসি সাহেব গরু ক্রয়ের রশিদগুলো রেখে দেন এবং আমার আনিত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয় বলে আমাকে জানায়। এছাড়া পরদিন গরুগুলো নিয়ে যেতে বলেন। পরে নাছির সাহেবের কাছে গেলে তিনি আমাকে হুমকি
ধমকি দেন। তিনি বলেন, ‘তোমার আবার কিসের গরু?’ হুমকি-ধমকি ও গরু জিম্মায় রাখার বিষয়ে মিরসরাই বিশ^বিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাছির উদ্দিন বলেন, ‘দিদারুল লোকটা পুরোপুরি একজন প্রতারক। আমাদের টাকা দিয়ে গরু কিনে সে নিজের নামে রশিদ কাটিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা
হতবাক হয়েছি।’
এসব বিষয়ে মিরসরাই থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, উভয়পক্ষ আমার কাছে এসেছিল। বাদি দিদারুল তার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণাদি দিতে পারেননি। এছাড়া বিষয়টি পূর্ণাঙ্গভাবে এখনো সুরাহা হয়নি। গরুগুলো নাছির সাহেবের জিম্মায় রাখা হয়েছে।